আজ বুধবার রাত ১১:৩৪, ১০ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
এবার পুলিশের সামনেই চিঠি দিয়ে ‘গোপন বার্তা’ দিলেন সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। এর আগে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি ও সাবেক আইসিটি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এ রকম গোপন চিঠি দিয়েছিলেন।
বুধবার ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উঠানোর সময় এ চিঠি দেন তিনি।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এনামুরসহ চারজনকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ প্রহরায় তাদের ৯টা ৩২ মিনিটে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এ সময় এনামুর তার বাম পকেট থেকে সাদা কাগজের চিঠি বের করেন এবং এক ব্যক্তির হাতে চিঠি তুলে দেন। পরবর্তীতে ওই ব্যক্তি নিজেকে এনামুরের ভাই বলে পরিচয় দেন। তবে ওই চিঠিতে কী লিখেছেন তা জানা সম্ভব হয়নি।
পরে ডা. এনামকে নেওয়া হয় সাভার মডেল থানার ৭ মামলার শুনানিতে। অপর তিনজনকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমে ৬ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়। আদালত গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাইয়ুম হত্যা মামলায় এনামুরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ইকবাল হোসেন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালানো হয় সাভার ও আশুলিয়া এলাকায়। আশুলিয়ায় ৪১ জন এবং সাভারে ২১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে তার নির্বাচনি এলাকায়। এ আসামির ছত্রছায়ায় এসব ঘটনা ঘটেছে। তিনি ধনাঢ্য ব্যক্তি। টাকা দিয়ে এসব অপকর্ম করিয়েছেন। লাশে গান পাউডার দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তারা বলেন, আমরাও চাই মামলার তদন্তভার ঠিকভাবে হোক। বয়স বিবেচনায় তার রিমান্ড বাতিলের আবেদন করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, পুলিশের পেছনে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আহতদের চিকিৎসাও করতে দেয়নি তারা।
এ সময় ডা. এনাম বলেন, এটা মিথ্যা কথা। যখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হয় তখন বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে নির্দেশ দিয়েছি। আমি নিজে গেছি। জুলাই থেকে অক্টোবর চার মাসে গুলিবিদ্ধ ২৯০ জনকে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দিয়েছি। ওষুধ, খাবার, অপারেশন করিয়েছি। জরুরি বিভাগ থেকে আহত ৫৭৬ জনকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি৷ সব রেকর্ডে আছে। রানা প্লাজার ভবন ধসের সময় সাড়ে পাঁচ হাজার শ্রমিককে চিকিৎসা দিয়েছি। এনাম মেডিক্যাল মানবিক হাসপাতাল। পরে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।