আজ মঙ্গলবার রাত ১১:০৪, ১৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
শেখ হাসিনার ক্ষমতাচূত হওয়ার পর বাংলাদেশে একাধিক বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ছিল শেখ পরিবারের নামে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অর্ধশতাধিক স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা। আওয়ামী লীগ সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসনের একটি প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি, যা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর ছিল, ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া তার অসংখ্য ভাস্কর্য এবং মোড়ালও ধ্বংস করা হয়েছে।
তবে, এখনো দেশের সবকটি নোট ও সারক মুদ্রায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি শোভা পাচ্ছে। এদিকে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ বাজারে নতুন নোট ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাঁচ, ২০ এবং ৫০ টাকার এসব নতুন নোটে থাকছে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। ছোট এই নোটগুলোর পাশাপাশি, বাজারে ছাড়া হবে ১০০, ২০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নতুন নোটেও বিদ্যমান ডিজাইন। সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছেন যে, এগুলোর মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকবে।
তবে, নতুন নোট বাজারে ছাড়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অন্তত তিনজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুদ্রাবান নোট হচ্ছে দেশের মানুষের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। প্রতি মুহূর্তে কোটি কোটি টাকার নোট হাত বদল হয়। গণঅভ্যুত্থানের পর সবার আগে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করা উচিত ছিল, যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নেতাসহ সরকারের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের কাছে থাকা হাজার হাজার কোটি টাকার নোট কাগজে রূপান্তরিত হতো। তখন নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে ছাড়লে, নোট থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও বাদ পড়তো। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক সেটি না করে, গণঅভ্যুত্থানের সাত মাস পর বাজারে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সম্বলিত নতুন নোট ছাড়তে যাচ্ছে।
এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এবং বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে, বিশেষ করে কর্মকর্তাদের মধ্যে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের মত, নতুন নোট বাজারে ছাড়া হলেও দেশের অর্থনীতি ও মুদ্রাব্যবস্থা নিয়ে আরো ব্যাপক পরিবর্তন দরকার।