আজ সোমবার সকাল ১০:৫৬, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর মধ্যে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা খাতে প্রায় ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা চেয়েছে।
বাকি টাকা স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ধরা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এ বরাদ্দ চেয়ে সম্প্রতি প্রস্তাব পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। ইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রায় ২৮০০ কোটি এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ২ হাজার ৭৯৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা চেয়েছি। তবে এটাই চূড়ান্ত নয়। এছাড়া এ পরিমাণ টাকা ব্যয় হবে-বিষয়টি এমন নয়। এর চেয়েও কম টাকা লাগতে পারে। সবকিছু ভোটের সময়কার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
আগামী অর্থবছরে ‘নির্বাচন’ খাতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৫ হাজার ৯২১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ কার্যক্রমে ৬৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শেষ বা আগামী বছরের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এছাড়া আগামী অর্থবছরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আওতায় কিছু নির্বাচনি সরঞ্জাম সরবরাহের আলোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি নির্বাচনে ব্যয় বাড়ছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ২২৭৬ কোটি টাকার ব্যয় ব্যয় ধরা হয়। এর মধ্যে হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয় আইনশৃঙ্খলা খাতে। নির্বাচন পরিচালনার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয় আইনশৃঙ্খলা খাতে।
বৈশ্বিক আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যে গত নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা থেকে সরঞ্জামাদি কেনায় ব্যয় বেড়েছিল। সেই সঙ্গে সম্মানি ভাতাও বাড়ানো হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি নির্বাচনে ব্যয় বাড়ে ইসির।
এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল। যদিও পরে তা আরও বেড়েছিল।