আজ সোমবার সকাল ৭:৫৩, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

এখনো ১৪শ অস্ত্র ও আড়াই লাখ গুলি উদ্ধার হয়নি

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫ , ১১:১৪ অপরাহ্ণ
ক্যাটাগরি : জাতীয়

প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়নবিষয়ক বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ বলেছেন, ৫ আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে লুট হওয়া ১৪শ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। উদ্ধার করা করা যায়নি প্রায় আড়াই লাখ বিভিন্ন ধরনের গুলি। প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছিল তখন। এসব অস্ত্র কোথাও না কোথাও আছে। দেশব্যাপী যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।

মঙ্গলবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের শেষ দিনের প্রথম কর্ম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তিন-চতুর্থাংশের বেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এটি বিরাট সাফল্য বলে আমরা মনে করি। ৬ লাখ গুলির মধ্যে আড়াই লাখ এখনো উদ্ধার হয়নি। তার মানে উল্লে­খযোগ্য সংখ্যক উদ্ধার হয়েছে।

আবদুল হাফিজ বলেন, আমি উল্লে­খ করেছি স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হচ্ছে এবং তারা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে ডিসিদের সজাগ থাকতে হবে। সামনে রমজান, তখন ডিসিদের ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে। কৃষকের কৃষি উপকরণ, সার ও সেচের পানিপ্রাপ্তি যাতে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাজার দর, বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারেন, সেটা যেন মোকাবিলা করতে পারেন। আমরা বলেছি, সাধারণ মানুষের তিনটা প্রত্যাশা। নিরাপদে চলাফেরা করা এবং শান্তিতে ঘুমাতে এবং দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে যেন থাকে। সরকারের কাছে যেটা পাওয়ার কথা সেটা যেন কোনো ঝামেলা ছাড়া পেতে পারে।

আবদুল হাফিজ উদাহরণ দিয়ে বলেন, নরসিংদী জেলার ছয়টি ইউনিয়ন একটু দুর্গম, সেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষ খুন হচ্ছে, সেখানে স্পেশাল অপারেশন দরকার।

বিশেষ সহকারী বলেন, যুব সমাজের জন্য সর্বজনীন সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। যাতে দেশের প্রতিরক্ষায় যুবসমাজ অংশগ্রহণ করতে পারেন। জেলা প্রশাসকরা সিভিল মিলিটারি কো-অপারেশন কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনীর বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি কিভাবে করা যায়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে প্রশ্ন ছিল কিভাবে জাটকাবিরোধী অভিযানে বা মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আরও কিভাবে সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করতে পারেন। সেনাবাহিনীর কাছে ডিসিদের প্রশ্ন ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকিচিন ন্যাশনাল ফন্ট যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তার কারণে কয়েকটি জেলায় পর্যটন শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যটন শিল্প ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার ইয়াং জেনারেশন কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সেখান থেকে কিভাবে উত্তোরণ করতে পারি সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল।