আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬:৫৮, ৯ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
জনগণ ও মধ্যবর্তী অবস্থানের সপক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এ পোস্ট করেন তিনি।
পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেন, এ অভ্যুত্থান সবার। সেজন্যই মাস্টারমাইন্ড নামক মিডিয়ার তৈরি হাইপকে আমি শুরুতেই প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত যারা নিতাম, তারা প্রায় সকল সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে অনেক স্টেকহোল্ডারদের সাথে কথা বলেছি। একটা সিদ্ধান্ত ফাইনালাইজ করতে অন্তত ৫/৬ টা গ্রুপের মতামত শুনে বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ফলে, এটা আসলে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়া বডির সামষ্টিক কৌশলগত সক্ষমতা যেমন, তেমনি অনেকগুলো গ্রুপ অব পিপলের অংশগ্রহণ ও পরামর্শের ও ফসল। কেউই অনুল্লেখযোগ্য নয়। আর, জনগণ তো ১৯-৩৩ জুলাই কারো সিদ্ধান্তের জন্য বসে থাকেনি। তবে, তারা অবশ্যই পাবলিক- প্রাইভেট থেকে শুরু করে মাদ্রাসা- স্কুল- কলেজের ছাত্রদেরকেই লেজিটিমেট নেতৃত্ব হিসাবে মানতেন।
আমাদের মধ্যবর্তী অবস্থান ধরে রাখতে হবে । সবাইকে নিয়ে এগোতে হবে কিন্তু, Saboteur দের বাদ দিয়ে। Sabotage বা পেছন থেকে ছুরি মারা, অনার কোড না মানার অভ্যাস – এসব যেকোনো বন্দোবস্তের জন্য হুমকিস্বরূপ। রাজনীতি মানে Gentlemen’s Agreement ও থাকবে না এটা যারা ভাবেন, তারা নিজেদের শুধরে নিন- যোগ করেন তিনি।
দুঃখপ্রকাশ করে তিনি লিখেন, আমার কোন কোন বক্তব্য হয়ত কারো কারো মনে কষ্ট দিয়েছে, বিশেষ করে তৌহিদী জনতা বলাটা। আপনারা যারা আমার বক্তব্যের কারণে নারাজ- নাখোশ হয়েছেন, আমি আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। এছাড়া গত কয়েক মাসে অন্যকোনো বক্তব্যে কেউ আঘাত পেলে বা সেটাকে বিভাজনমূলক ভাবলে, সেক্ষেত্রেও আমি আমার বক্তব্য পুনর্বিবেচনার পক্ষে৷ ভারসাম্যপূর্ণ, বিভাজন ও ট্যাগিং বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করাটা জনগণের মধ্যকার ঐক্যের জন্য জন্য জরুরি। আমরা জালিম বা মজলুম কোনোটাই হতে চাই না।
মাহফুজ আলম আরও লিখেন, আমাদের শত্রু অগণিত এবং তারা সবাই শক্তিধর। মিত্র খুবই কম। একটু ছাড় দিয়ে যদি আমরা মিত্রতা বাড়াতে পারি এবং শত্রুদের পরাস্ত করতে পারি, তা আখেরে এদেশের জনগণকেই উপকৃত করবে। গণ-অভ্যুত্থানের সকল শক্তির ঐক্যই আমাদের গন্তব্য। একটা হিস্টরিক ব্লক তৈরির সম্ভাবনা আমাদের সামনে ছিল৷ এখনো আছে বটে। ফ্যাসিবাদবিরোধী ও বাংলাদেশপন্থী জনগোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যেই রাজনৈতিকভাবে ইতিবাচক প্রতিযোগিতা করতে হবে। কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতিতে স্পেইস দেওয়া যাবে না।