আজ সোমবার ভোর ৫:১২, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৬ হাজার কোটিরও বেশি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক। অন্যের জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে তার ওপরে। সম্প্রতি মোজাম্মেল হক, তার স্ত্রী ও সন্তানের নামে থাকা জমি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকায় যেদিকে চোখ যায় বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে ফসলি জমি, খেলার মাঠ, জলাশয়। কিছু জমি নাম মাত্র মূল্যে কেনা হলেও বাকী সব দখল করা। কেউ বাধা দিতে গেলেই করা হতো নির্মম নির্যাতন। এসব কিছুর নেপথ্যে ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হক।
রুপগঞ্জের হিন্দু পাড়া রোডেও দেখা গেছে একই দৃশ্য। রোডের মাঝামাঝি দেয়াল তুলে দিয়েছে আনন্দ হাউজিং কর্তৃপক্ষ। এই বাউন্ডারির কারণে আশেপাশের এলাকার লোকজন হিন্দু পাড়া রোড দিয়ে আসা যাওয়া করতে পারছে না।
আনন্দ পুলিশ পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতির নামে দখল চালালেও কাগজে কলমে মালিক দেখানো হয়েছে গাজী মোজাম্মেল হকের স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেলকে। আর তার প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়া হয়েছে আনন্দ প্রপার্টিজ লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানের দখলে রয়েছে তিন হাজার বিঘা জমি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ছয় হাজার কোটি টাকার বেশি। ১৭ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের এই কর্মকর্তা তার সিনিয়রদের নাম ভাঙিয়েও কামিয়েছেন অনেক কিছু। মাঝে মধ্যেই রুপগঞ্জের প্রকল্প এলাকায় তার আলিশান খামার বাড়িতে নিয়ে যেতেন তাদের। কখনো কখনো শোডাউনেও কাজে লাগাতেন এসব সিনিয়র কর্মকর্তাদের।
ডিআইজি গাজী মোজাম্মেল হকের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার নামে থাকা ৬৫ বিঘা জমি ও পরিবারের নামে থাকা ২৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া তার স্ত্রী ফারজানা মোজাম্মেল ও মেয়ে বুশরা তাবাসসুমের নামে থাকা জমিও জব্দের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।