আজ রবিবার বিকাল ৫:২৭, ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
দেশে বাল্যবিবাহের হার এখনও বেশ উচ্চ, তবে অনেক নারী ৩০ বছর বা তার পরে সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করেন। এর পিছনে রয়েছে পড়াশোনা, ক্যারিয়ার এবং সেশনজটের মতো নানা কারণ। তবে, বয়স বাড়িয়ে সন্তান ধারণের সঙ্গে জড়িত ঝুঁকিগুলো জানলে তার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া সহজ হয়।
বয়স যত বাড়ে, ততই ডিম্বাশয়ের ডিম্বাণুর সংখ্যা এবং গুণগত মান কমতে থাকে, ফলে সন্তান ধারণের সক্ষমতা হ্রাস পায়। বয়স বেশি হলে বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে এবং গর্ভধারণের পর মিসক্যারেজের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বিশেষত ৩৫ বছর বয়সের পরে সন্তান ধারণ করলে ডাউন সিনড্রোম বা অন্যান্য জন্মগত ত্রুটির ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়া, বয়স বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা ইত্যাদি বৃদ্ধি পায়, যা গর্ভাবস্থায় নানা জটিলতা তৈরি করতে পারে।
*করণীয়:*
■ ত্রিশের পরে মা হতে চাইলে গর্ভপূর্ব চেকআপ করিয়ে একজন প্রসূতিবিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো গর্ভধারণ করতে হবে। স্বামীর বয়সও গুরুত্বপূর্ণ।
■ ফলিক এসিড আগে থেকেই শুরু করা উচিত।
■ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড সমস্যা, অ্যানিমিয়া স্ক্রিনিং করা উচিত। সমস্যা থাকলে চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
■ কিছু ক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন, প্রোজেসটেরন সাপোর্ট বা ভিটামিন বি, সি প্রয়োজন হতে পারে।
■ বাচ্চার ক্ষেত্রে জন্মগত ত্রুটি যাচাইয়ের জন্য ১২-১৩ সপ্তাহে ডাউন সিনড্রোম স্ক্রিনিং এবং ২০-২২ সপ্তাহে অ্যানোমেলি স্ক্রিনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ক্যারিয়ার, ব্যস্ত জীবন এবং আর্থিক সচ্ছলতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি একটি সুখী পরিবারও জীবনের অপরিহার্য অংশ। তাই ত্রিশের আগে প্রথম সন্তান নেওয়া ভালো। তবে কোনো কারণে দেরি হলে, আগেভাগে সতর্ক থাকলে বিপদ এড়ানো সম্ভব।