আজ মঙ্গলবার সকাল ১০:০৯, ২৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা সফর, ১৪৪৭ হিজরি

শেখ হাসিনা তার বাবাকে দেবত্ব আরোপ করেছেন, তা নিয়েও মানুষের ক্ষোভ ছিল

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : মার্চ ১, ২০২৫ , ১২:৫৩ অপরাহ্ণ
ক্যাটাগরি : জাতীয়

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সাথে ভারতীয় সাংবাদিক অর্ক দেবের একটি সাক্ষাৎকার হয়েছে। যেখানে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ।
সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক অর্ক দেব ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙার ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়া কেন সম্ভব হলো না জানতে চাইলে মাহিফুজ বলেন, ‘হ্যাঁ ঠিকই, এটা এড়ানো গেল না।

আসলে ৩২ এর বাড়ি-দালান-ভাস্কর্যের উপরে মানুষের ক্ষোভ ছিল ফ্যাসিবাদের স্মারক হিসেবে। শেখ হাসিনাকে তো আর মানুষ সামনে পাচ্ছে না। তাঁর যে ভাই-বেরাদার, কাউকেই তো সামনে পাচ্ছে না। পাচ্ছে একটা দালান, একটা ভাস্কর্য। তখন এর উপরেই তারা ক্ষোভ মেটাচ্ছে। বিচার প্রক্রিয়া আরও এগোনো গেলে এই ঘটনা হয়তো ঘটত না, মানুষ এ ভাবে সঙ্ঘবদ্ধ হতো না। এই শৃঙ্খলাভঙ্গ আসলে মানুষের চাপা ক্ষোভের প্রকাশ।’

তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার বাবাকে দেবত্ব আরোপ করেছেন, তা নিয়েও মানুষের ক্ষোভ ছিল, ‘৭২-‘৭৫ সম্পর্কে মানুষ অবহিত, কাজেই এই দেবত্ব আরোপ তারা ভালোভাবে নেয়নি। আমাদের কাজ এই ক্ষোভকে চ্যানেলাইজ করা। বিচারই সেই ক্ষোভপ্রশমনের একমাত্র পথ, বিচার এগিয়ে আনতে পারলে এমনটা হতো না।’

মাহফুজ বলেন, ‘আমরা হাত দিতে গেলে হাত পুড়ে যাবে জানতাম। আবার বসেও থাকতে পারছি না। পরে যখন এটা ছড়িয়ে পড়ছিল, বিভিন্ন জায়গায় হামলা হচ্ছিল বা বিভিন্ন জায়গায় মানুষ ক্ষোভ দেখাচ্ছিল, বিভিন্ন জায়গায় জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচি শুরু হয়ে গেল, তখন আমরা মনে করলাম এইবার যে কোনও মূল্যে এটাকে আটকাতে হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, রাজনৈতিক নেতা সবাইকে এনগেজ করে আমরা বার্তা দিতে শুরু করলাম, কোনওভাবেই যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। আমাদের একটা শঙ্কাও ছিল, শুধুমাত্র হয়তো দালানকোঠাতে বা ভাস্কর্যে মানে শেখ হাসিনার চৌহদ্দিতেই এটা সীমিত থাকবে না। এটা হয়তো মাজার ভাঙা বা সংখ্যালঘু পরিবারের উপরেও আঘাত হিসেবে নেমে আসতে পারে। আমরা অনেক সতর্ক অবস্থান নিয়ে ফেলেছিলাম। এটা (৩২ ধানমন্ডির বিক্ষোভ) কন্ট্রোল করতে পারিনি, কিন্তু আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আর কোথাও যেন হামলা না হয়। বৃহস্পতিবার রাতের পরে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়।’