আজ রবিবার রাত ৩:৩৬, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
উচ্চ-আইকিউ সম্পন্ন ব্যক্তিরা পড়ালেখায় বিশেষ কিছু কৌশল অনুসরণ করেন। এগুলো হলো:
উচ্চ-আইকিউ সম্পন্ন ব্যক্তিরা কেবল কঠোর পড়ালেখা করে না- তারা কৌশলী পড়ালেখা করে। তাদের শেখার পদ্ধতির মধ্যে এমন কৌশল রয়েছে যা বোঝা, ধারণ করা এবং সমস্যা সমাধানকে উন্নত করে। আপনি যদি এই অধ্যয়ন পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করেন, তবে এটি আপনার জ্ঞানীয় ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে।
২. ব্যবধানের পুনরাবৃত্তি:
সময়ের সাথে সাথে স্মৃতিকে শক্তিশালী করতে সংগ্রাম করার পরিবর্তে, বুদ্ধিমান শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট বিরতিতে তথ্যগুলো আবার দেখেন। এই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত কৌশলটি জ্ঞানকে স্থায়ী করে ও দীর্ঘমেয়াদী ধারণাকে শক্তিশালী করে।
৩. ইন্টারলিভিং:
গভীর শিক্ষার জন্য বিষয়গুলোর মধ্যে পরিবর্তন করা। একটি বিষয়ে ফোকাস করার পরিবর্তে, উচ্চ-জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তিরা জ্ঞানীয় নমনীয়তা তৈরি করতে বিষয়গুলোকে মিশ্রিত করে। এই পদ্ধতিটি অভিযোজন ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বাড়ায়।
৪. SQ3R পদ্ধতি:
সর্বোচ্চ মনে রাখার জন্য সক্রিয় হওয়া। সমীক্ষা করুন, প্রশ্ন করুন, আবৃত্তি করুন এবং পর্যালোচনা করুন- এই কাঠামোগত পদ্ধতিটি প্যাসিভ পড়ার পরিবর্তে বিষয়টি সম্পর্কে গভীর ধারণার বিষয়টি নিশ্চিত করে। এটি কৌশলগত চিন্তার একটি বৈশিষ্ট্য।
৫. ডুয়াল কোডিং:
শিখনকে শক্তিশালী করতে ভিজ্যুয়াল ডায়াগ্রাম ব্যবহার করা। চার্ট বা মাইন্ড ম্যাপের সাথে শব্দগুলিকে যুক্ত করলে তা স্মরণ এবং বোঝার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। উচ্চ-আইকিউ সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা মনে রাখার জন্য মৌখিক এবং ভিজ্যুয়াল উভয় কৌশলই ব্যবহার করে।
৬. স্ব-পরীক্ষা:
নিষ্ক্রিয়ভাবে নোটগুলি বারবার পড়ার পরিবর্তে নিয়মিত নিজেকে প্রশ্ন করুন, এটি দক্ষতাকে শক্তিশালী করে। এই পদ্ধতিতে উচ্চ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সমস্যা সমাধানের দিকে এগিয়ে যায়।
৭. মাইন্ড ম্যাপিং:
ধারণার মানচিত্র তৈরি করা ধারণাগুলোর মধ্যে সংযোগ কল্পনা করতে সাহায্য করে, জটিল বিষয়গুলোকে সহজ করে তোলে। এই কৌশলটি বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনা এবং প্যাটার্নের স্বীকৃতি প্রদান করে।
৮. অন্যদের শেখানো:
অন্য কাউকে একটি ধারণা ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে শিক্ষাকে স্বচ্ছ এবং গভীর করে তোলা। উচ্চ-আইকিউ সম্পন্ন ব্যক্তিরা সহজাতভাবে অন্যদের শেখায়, এই প্রক্রিয়ায় তাদের নিজস্ব উপলব্ধিকে শক্তিশালী করে।