আজ মঙ্গলবার রাত ১০:১০, ১৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি

রাজধানীতে বেড়েছে অগ্নিদুর্ঘটনা, যে সতর্কবার্তা দিল সেনাবাহিনী

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : মার্চ ৬, ২০২৫ , ১:২৭ অপরাহ্ণ
ক্যাটাগরি : জাতীয়

রাজধানীতে গত কয়েকদিন ধরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা লেগেই আছে। গতকাল দিবাগত রাতে রাজধানীর গাবতলীর শাহী মসজিদ বস্তিতে আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সেই রেশ না কাটতেই আজ রাজধানীর ভাষানটেক এলাকার আবুলের বস্তিতে আগুন লাগে। শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে এসময় অগ্নিদুর্ঘটনা লেগেই থাকে।

তাই বিষয়টি নিয়ে সতর্কতামূলক নির্দেশিকা দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

গতকাল বুধবার ‘বাংলাদেশ আর্মি’ ভেরিফয়েড ফেসবুকে পেজে এ নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমান শুষ্ক ও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে জনবহুল এলাকা, শিল্পাঞ্চল, বাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন লাগার ঝুঁকি বেশি।

এ প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আগুন-সংক্রান্ত যেকোনো দুর্ঘটনা বা নাশকতা প্রতিরোধে নিম্নলিখিত সতর্কতামূলক নির্দেশনা অনুসরণ করতে অনুরোধ জানাচ্ছে।

সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ, জনবহুল এলাকা, শিল্পকারখানা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় কার্যকর সিসিটিভি সার্ভেইলেন্স নিশ্চিত করুন এবং ২৪/৭ মনিটরিং করুন। প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ, উচ্চ-সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে প্রবেশাধিকার সীমিত করুন এবং অনুমোদিত ব্যক্তিদের পরিচয় যাচাই করুন। সন্দেহজনক কার্যকলাপ শনাক্তকরণ, যে কোনো অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড (যেমন: অপ্রত্যাশিত দাহ্য পদার্থের উপস্থিতি, অননুমোদিত ব্যক্তি বা যানবাহন) সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করুন।

অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ ব্যবস্থার জন্য স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার সেফটি গিয়ার, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় অগ্নি নির্বাপক (ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার ব্ল্যাঙ্কেট, স্মোক ডিটেক্টর) পর্যাপ্ত পরিমাণে স্থাপন করুন। ইলেকট্রিক্যাল ওভারলোডিং রোধ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে বৈদ্যুতিক লোড ব্যালেন্সিং পরীক্ষা করুন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামের রক্ষণাবেক্ষণ, নিয়মিত ফায়ার হাইড্রেন্ট, স্প্রিংকলার সিস্টেম ও ফায়ার অ্যালার্মের কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন।

নাশকতা প্রতিরোধ ও প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নজরদারি, সম্ভাব্য অগ্নিসংযোগমূলক কর্মকাণ্ড শনাক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অন্যান্য উৎস মনিটর করুন। কুইক রেসপন্স টিম (QRT), শিল্প এলাকা, বাজার ও জনসমাগমস্থলে দ্রুত প্রতিক্রিয়াশীল নিরাপত্তা টিম প্রস্তুত রাখুন।

জরুরি যোগাযোগ ও সমন্বয়, স্থানীয় প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে দ্রুত তথ্য বিনিময়ের জন্য হটলাইন নম্বর গুলো জেনে রাখুন।

তাৎক্ষণিক রিপোর্টিং ও সহায়তার জন্য যে কোনো অগ্নিকাণ্ড বা সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড দেখলে দ্রুত যোগাযোগ করুন:
? জাতীয় জরুরি সেবা: ৯৯৯
? ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স: ১০২
? বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিকটস্থ ক্যাম্প

আগুন প্রতিরোধে প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা সম্মিলিতভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো।