আজ বৃহস্পতিবার রাত ৪:০৬, ১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
শুধু নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেও নারীর জয়জয়কার এখন দিকে দিকে। এক সময় ঘরের কোণে থাকতে বাধ্য হওয়া নারী সব ধরণের কাজের পাশাপাশি মাঠের কাজ করেছেন বহু বছর হলো। ফসলের ক্ষেত থেকে শুরু করে কর্পোরেট অফিস। ঘর থেকে শুরু করে রাজনীতির ময়দান। সব জায়গায় নারীর দৃপ্ত পদক্ষেপ।
মা যেভাবে তার সন্তানকে এগিয়ে নেন জীবনের পথে, তেমনই নারী নিজেকে তো বটেই, টেনে তোলেন গোটা পরিবার ও সমাজকে।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ঘটনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেই উত্তাল মুহূর্তে রাজপথ কাঁপানো গণমানুষের মিছিলে সামনের সারিতে ছিলেন নারীরাও। অন্যায়ের বিরুদ্ধে শেকল ভাঙার লড়াইয়ে অবদান ছিলো নারীদেরও।
যদিও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সফল হওয়ার পর খুব অল্প সংখ্যক নারীকে এখন সামনের কাতারে দেখা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির জেষ্ঠ্য যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন বলেন, ‘’অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে আমরা যা আশা করেছিলাম- দেশের পুনর্গঠন, রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বিপুল পরিমাণ নারীদের অংশগ্রহণ ঘটবে। কিন্তু দুঃখের সাথে লক্ষ্য করতে হয় যে, সেটা অধরা থেকে গেছে। রাজনৈতিক পরিমন্ডলটিকে বন্ধুত্বসুলভ করতে হবে। সকলের জন্য অংশগ্রহণমূলক করতে হবে।’
যোগ্যতা এবং দক্ষতায় কোনো দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই নারী। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকে পিছিয়ে রাখার যে সুপ্ত বাসনা সেটি ভাঙবে কবে?
নারীরা বলছেন, নতুন প্রজন্মের বাংলার নারীরা বাঁধা জয় করেই এগিয়ে যাচ্ছেন। যার মধ্য দিয়েই রচিত হবে বাংলার নারীর নতুন ইতিহাস।