আজ শনিবার সকাল ৬:৪৩, ১২ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ই শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

চার্জবিহীন মোবাইল ফোন: প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : মার্চ ৯, ২০২৫ , ১:৩৫ অপরাহ্ণ
ক্যাটাগরি : তথ্য ও প্রযুক্তি

বর্তমান যুগে মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। তবে, ব্যাটারির চার্জ দ্রুত শেষ হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানে বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন এমন প্রযুক্তি, যা মোবাইল ফোনকে দীর্ঘ সময় চার্জের প্রয়োজন ছাড়া চালাতে সক্ষম।

বেটাভোল্টের পারমাণবিক ব্যাটারি:

চীনের স্টার্টআপ কোম্পানি বেটাভোল্ট টেকনোলজি এমন একটি পারমাণবিক ব্যাটারি উদ্ভাবন করেছে, যা একবার চার্জ দিলে ৫০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে। এই ব্যাটারিতে তেজস্ক্রিয় উপাদান নিকেল-৬৩ ব্যবহার করা হয়েছে, যা ক্ষয় হতে থাকলে শক্তি নির্গত করে এবং একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই শক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে। ব্যাটারির আকার মুদ্রার মতো ছোট ও হালকা, দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ১৫ মিলিমিটার এবং উচ্চতা ৫ মিলিমিটার। ২০২৫ সালের মধ্যে এই ব্যাটারির শক্তি বাড়িয়ে ১ ওয়াটে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বেটাভোল্ট।

ইনোভেটিভ পাওয়ার সলিউশন্সের থার্মাল পাওয়ার টেকনোলজি:

ইউনাইটেড কিংডমের ইনোভেটিভ পাওয়ার সলিউশন্স (IPS) কোম্পানি তাদের থার্মাল পাওয়ার টেকনোলজি ব্যবহার করে মোবাইল ডিভাইসের জন্য চার্জবিহীন ব্যাটারি সিস্টেম তৈরি করছে। এই প্রযুক্তিতে ডিভাইসের চারপাশের তাপমাত্রা থেকে শক্তি সংগ্রহ করে ব্যাটারিতে রূপান্তর করা হয়, যা ব্যাটারির চার্জের প্রয়োজন কমায়। তবে, এই প্রযুক্তি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য আরও উন্নয়ন প্রয়োজন।

চার্জবিহীন মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি সমাজে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। ব্যাটারির চার্জ নিয়ে উদ্বেগ কমে যাওয়ায় ব্যবহারকারীরা দীর্ঘ সময় ধরে ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। এতে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বাড়বে, যা টেলিকমিউনিকেশন ও প্রযুক্তি খাতে নতুন উদ্দীপনা আনবে।

চার্জবিহীন মোবাইল ফোনের প্রযুক্তি এখনও উন্নয়নশীল পর্যায়ে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই প্রযুক্তিকে আরও কার্যকর ও নিরাপদ করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আসন্ন বছরে এই প্রযুক্তির বাণিজ্যিক বাস্তবায়ন সম্ভব হতে পারে, যা মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করবে।

চার্জবিহীন মোবাইল ফোনের ধারণা প্রযুক্তির অগ্রগতির প্রতিফলন। যদিও এই প্রযুক্তি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে, তবে এর সম্ভাবনা অত্যন্ত উচ্চ। ভবিষ্যতে এটি মোবাইল ফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ও সমাজে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে