আজ মঙ্গলবার সকাল ১১:৩৩, ২৯শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা সফর, ১৪৪৭ হিজরি
ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হওয়া পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার জসিম উদ্দিনের মেয়েকে (১৭) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু দেশের গণমাধ্যমগুলোতে।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে বাকিদের আটকের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন দুমকি থানার ওসি জাকির হোসেন।
এদিকে শহিদ জসিমের মেয়ের সঙ্গে এই ন্যাক্কারজনক কাণ্ডে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে জামায়াত আমির বলেন, পটুয়াখালীতে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শহিদ প্রিয় ভাই জসিম উদ্দিনের মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে যারা, তাদেরকে নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নেই। যাদের আত্মত্যাগে নতুন এই বাংলাদেশ, তাদের পরিবার জাতির কাছে পবিত্র আমানত। সেই আমানতের গায়ে যারা হাত দেয়, তারা কার্যত জাতির কলিজাতেই হাত দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা দুষ্কৃতিকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি এ ঘটনায় যারা সহানুভূতিশীল হবেন, তারা ওই মেয়েটার প্রতি সহানুভূতি জানাতে গিয়ে যেন তাকে আরো বেশি ট্রমাটাইজড না করেন। কারণ দুষ্টু মানসিকতাসম্পন্ন লোকেরা মানুষের ইজ্জতের মূল্য বোঝে না। যারা একান্ত সহানুভূতি দেখাতে চান, তারা সর্বোচ্চ তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, সহানুভূতি প্রদর্শন তাদেরকে সাহস যোগাতে পারেন। আইনি লড়াইয়ে তাদের পক্ষে অবস্থান নিতে পারেন। কিন্তু মেয়েটিকে কোনো অবস্থাতেই ট্রমাটাইজড করবেন না। আর এই কথাটি এ ধরনের সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।