আজ শুক্রবার বিকাল ৫:৫৬, ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, এবার ঈদে বাজারে বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত নতুন নোট ছাড়া হবে না। তবে, আগামী এপ্রিল মাসের শেষ নাগাদ নতুন নোট বাজারে আসতে পারে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ব্রিটিশ সহযোগিতায় পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, “আগামী ঈদে নতুন নোট হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ছবিযুক্ত টাকা বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসে আন্দোলনের ছবি যুক্ত নতুন নোট প্রস্তুত না হওয়ায় এবারের ঈদে তা সম্ভব হবে না। তবে, সরকারের নির্দেশে নতুন নোটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং আগামী এপ্রিলের শেষ নাগাদ তা বাজারে আসবে।”
তিনি জানান, নষ্ট না করে আগের সরকারের অতিরিক্ত ছাপানো টাকাগুলোর অবশিষ্টগুলো আপাতত সংরক্ষণ করা হচ্ছে। নতুন নোট ছাপানোর জন্য ব্রিটেন এবং সুইস কোম্পানি এই কাজটি করছে।
এছাড়া, চলতি মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ খুব ভালো উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, “২০২০ সালের জুলাই মাসে ২.৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, কিন্তু চলতি মাসে ১৯ দিনে সোয়া ২ বিলিয়ন ডলার এসেছে, যা আগামী মাসে ৩ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।”
গভর্নর আরও বলেন, “রেমিট্যান্স প্রবাহ এই মাসে খুবই ভালো। এর পেছনে অর্থপাচার বন্ধের কারণে অনেক টাকা দেশে ফিরে আসছে। আশা করছি, চলতি বছর রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে।”
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “এস আলমসহ অন্যান্য ব্যক্তি এবং তাদের পরিবার দ্বারা পাচার করা অর্থ শনাক্ত করা হয়েছে এবং তা ফিরিয়ে আনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চলমান রয়েছে। ১৫ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার এককভাবে পাচার হয়েছে, এবং সেগুলি কোথায় রয়েছে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে।”
এছাড়া, তিনি জানান, অবাধে অর্থপাচার বন্ধ হওয়ায় রিজার্ভের ক্ষয় অনেক কমে এসেছে এবং ২০ মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলার।