আজ শনিবার রাত ৮:৪৯, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

ঈদের আগে বাড়লো মুরগির দাম

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : মার্চ ২১, ২০২৫ , ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ
ক্যাটাগরি : বাণিজ্য

রমজানের শুরুতে রাজধানীতে মুরগির দাম বেড়েছিল, যা কয়েকদিন পরই কমে আসে। এখন আবারও দাম উর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি জাতের মুরগির দাম কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। একইভাবে বেড়ে পাকিস্তানি মুরগির কেজি ৩০০-৩২০ টাকা হয়েছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ঈদ সামনে রেখে মুরগির দাম কিছুটা বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ এখন কম।

মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহখানেক ধরে বাজারে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়েছে। কিন্তু সরবরাহ তুলনামূলক কম। এ কারণে দাম বেড়েছে।

‘ঈদে মুরগির কিছুটা বাড়তি চাহিদা থাকে, সেটাও দাম বাড়ার একটি বড় কারণ।’- বলেন এ ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ী মো. রবিউল বলেন, এখন অনেকে ঈদের জন্য আগেভাগে মুরগি কিনছেন। আমাদের ধারণা এসব কারণে দাম বেড়েছে।

এদিকে, প্রাণিজ আমিষের এই সহজলভ্য উৎসের দাম বাড়ায় অসুবিধায় পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ। সালমা বেগম নামের খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা এক ক্রেতা বলেন, গরু ও খাসির মাংসের দাম এত বেশি যে আমরা কিনে খেতে পারি না। ভরসা করতে হয় মুরগির ওপর। সেটারও দাম বাড়লে আমরা অসুবিধায় পড়ি।

রামপুরা বাজারের ক্রেতা রহিম বিশ্বাস বলেন, প্রতি শুক্রবার মুরগি কিনি। কিন্তু ব্রয়লার মুরগির দাম যেভাবে বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো গরিব মানুষ সমস্যায় পড়ে যাচ্ছে। ঈদের মধ্যে দাম আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।

এদিকে, ব্রয়লারের পাশাপাশি বেড়েছে সোনালি ও লাল কক মুরগির দামও। রামপুরার ব্যবসায়ী এনামুল বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়লে স্বাভাবিকভাবেই অন্য মুরগির দাম বাড়ে। এখনো তা-ই হচ্ছে। ব্রয়লারের দাম কমলে অন্য মুরগির দাম এমনিতেই কমে যাবে।

এদিকে, বাজারে কিছু নতুন সবজি সজিনা, পটোল বাড়তি দামে বিক্রি হলেও অন্যান্য সবজির দাম অনেকটাই স্থিতিশীল রয়েছে। সজিনা ১৪০-১৮০ টাকা ও পটোল ৬০-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আলুর কেজি ২০-২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকা ও টমেটো ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা বছরের যে কোনো সময়ের তুলনায় কম।

সবজির মতো সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দামও। এক ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। পাশাপাশি মুদি বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম অপরিবর্তিত দেখা গেছে।