আজ সোমবার ভোর ৫:১০, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ দলে আর কোনো খেলোয়াড় নেই যার ব্যাটিং অর্ডার আমার মতো এত পরিবর্তন হয়েছে’- হতাশা নিয়ে কথাটা বললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কথাটা আক্ষরিক অর্থেই সত্যি। ওয়ানডে ফরম্যাটে ওপেনিং থেকে শুরু করে খেলেছেন সুদূর ৯ নম্বর পজিশনেও। এখনও কোথাও থিতু হতে পারেননি। এবার এ নিয়ে আক্ষেপ আর হতাশা উগড়ে দিলেন ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে।
মিরাজ বলেন, ‘যেভাবে আমাকে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে। আমার মনে হয় এমন খুব কম খেলোয়াড়ের সাথেই হয়েছে। আপনার কি মনে হয় না আমার একটা নির্দিষ্ট পজিশন দরকার? তখনই না ভালো করতে পারব, দলেরও উপকার হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজ না জিতলেও আমরা বোর্ডে ভালো রান রেখেছি, আমার জন্য দলের জন্য ভালো ছিল। জিততে পারিনি এটা অন্য হিসাব।’
সময় নিয়ে ব্যাট করলে ভালো করেন- ব্যাপারটি পরীক্ষিত। তা সত্ত্বেও মিরাজের টপ অর্ডারে সুযোগ মেলে শুধু অন্য পরীক্ষিত কারও অনুপস্থিতিতে। বিষয়টিকে অবশ্য ভাগ্যের দোষ মানতে নারাজ তিনি।
‘ভাগ্যের দোষ দিব না। এটা ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। তবে আমারও দোষ, দলের স্বার্থে আমি কখনও ‘না’ বলতে পারিনি। তবে ভবিষ্যতেও যদি আমাকে নিয়ে এমন পরীক্ষানিরীক্ষা হয়, আমার মনে হয় দলের জন্য বা আমার জন্য এটা ভালো হবে না।‘
‘৪ নম্বরে ৪ ইনিংসে আমি করেছি। তিনবার ৭০+ রান করেছি। যদি ব্যর্থও হই এর মানে এই না আমি এখানে ভালো করব না। যখন যেখানে প্রয়োজন আমি খেলেছি। আমার মনে হয় এখন একটা সিদ্ধান্তে আসা উচিৎ। ম্যানেজমেন্টকেও বলেছি আমাকে একটা সেট পজিশন দিতে।‘
মিরাজ ৪ নম্বর পজিশনে নিজেকে থিতু করতে চান। ইতোমধ্যে দলকে নিজের চাওয়ার ব্যাপারেও জানিয়েছেন ওয়ানডের সহ-অধিনায়ক। আরও নিচে খেলে ভালো করার মাধ্যমে উপরে খেলে ভালো করার সামর্থ্যও অর্জন করেছেন, বিশ্বাস মিরাজের, ‘৪ নম্বর আমার জন্য ভালো হবে, সময় পাব। আমি জানি এই পজিশনে কীভাবে খেলতে হয়। মুশফিক ভাই আমাকে অনেক সহায়তা করেছে, এই পজিশনে তিনি দীর্ঘদিন খেলেছেন। আমার মনে হয় আমি ভালোই মানিয়ে নিয়েছি।‘
‘৭-৮ নম্বরে তো কয়েক বছর খেললাম। সাকিব ভাই ছিল না, তখন এক-দেড় বছর ৫ নম্বরে খেলেছি। কীভাবে ম্যাচ শেষ করতে হয় আমি প্যাটার্ন জানি। আটে নেমে ম্যাচ জিতিয়েছি, ভারতকে হারিয়েছি, আফিফকে নিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জুটি গড়েছি।‘
মিরাজ আপাতত সব কিছু ছেড়ে দিচ্ছেন টিম ম্যানেজমেন্টের হাতে। আর নিজের ‘না’ বলতে পারাকেই দোষারোপ করছেন বর্তমান পরিস্থিতির জন্য, ‘সিদ্ধান্ত টিম ম্যানেজমেন্টের। একজন খেলোয়াড়কে তো সুযোগ দিতে হবে। টপ অর্ডারে ২-৩ ম্যাচ খারাপ করা মানে এই নয় আমি এটা পারব না। সময় দিতে হবে।
আমি কখনও না বলতে পারি না এটাই আমার দোষ। জানি না কেন এমন হয়। শুধু ক্রিকেট ক্যারিয়ারেই না, আমার ব্যক্তিগত জীবনেও এটা হয়। আমি না বলতে পারি না। তবে এখন একটা সিদ্ধান্তে আসার সময় হয়েছে। আমি কোচ, ক্যাপ্টেন, বোর্ড প্রেসিডেন্টের সাথে কথা বলেছি। আমার মতামত জানিয়েছি।’