আজ সোমবার রাত ২:২৭, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
এর আাগে দুই দফা শতক বঞ্চিত হয়ে অবশেষে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেছেন তাওহিদ হৃদয়।
বৃহস্পতিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে তার করা ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের পরও অবশ্য বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। মোহাম্মদ শামির বিধ্বংসী বোলিংয়ে বাংলাদেশের ইনিংস ২২৮ রানেই থেমেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। এর মধ্যে তাওহিদ একাই করেছেন ১১৮ বলে ৬ চার, ২ ছক্কায় ১০০।
ভারতের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩৫ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে তাওহিদ খেলবেন কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল। কারণ ইনজুরিতে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজ খেলতে না পারা তাওহিদ তার আগে ফর্মের সাথেও লড়ছিলেন। কিন্তু দুবাইয়ে ব্যাট হাতে ভারতের দুর্ধর্ষ বোলিং আক্রমণের সামনে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন। তাকে সঙ্গ দিয়েছেন আরেক তরুন জাকের আলী অনিক।
এদিন সৌম্য সরকার (০), নাজমুল হোসেন শান্ত (০) ও মেহেদি হাসান মিরাজ (৫) দ্রুত বিদায় নেওয়ার পর ক্রিজে আসেন তাওহিদ। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ৫ নম্বর পজিশনে। ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে ওই পজিশনে নেমে করেন ৮৫ বলে ৮ চার, ২ ছয়ে ৯২। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২৪ সালের ১৫ মার্চ চট্টগ্রামে চারে নেমে করেন ১০২ বলে ৩ চার, ৫ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৯৬ রানে।
মাঝে অনেকবারই পজিশন বদলেছে তাওহিদের। তবে ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে আবার ক্যারিয়ার শুরু করার পজিশন পাঁচে ফিরেছেন দলের বিপর্যয়ের মুখে। যদিও এই ম্যাচের একাদশে ফর্মের কারণে সুযোগ পাওয়া নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু সুযোগটা পেয়েই কাজে লাগিয়েছেন।
তাওহিদ নামার পরই দারুন খেলতে থাকা তানজিদ হাসান তামিম (২৫ বলে ২৫) সাজঘরে ফিরেছেন। পরের বলেই মুশফিকুর রহিম (০) আউট হলে বিপর্যয়ে পড়েছে বাংলাদেশ।
সেখান থেকে লড়াই শুরু করে ষষ্ঠ উইকেটে জাকেরের সঙ্গে ১৫৪ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে সেরা। বাংলাদেশের পক্ষেও ষষ্ঠ উইকেটে এটি জুটির রেকর্ড। গত বছর ডিসেম্বরে জাকের ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ষষ্ঠ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট কিটসে ১৫০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটির রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশের পক্ষে।
নতুন রেকর্ডের এই জুটি গড়ার পথে দুবাইয়ের তীব্র গরমে পায়ে টান লাগে তাওহিদের। সঙ্গী জাকেরও ৬৮ রানে সাজঘরে ফেরেন। রিশাদ হোসেন সপ্তম উইকেটে ২৫ রানের জুটি তাওহিদকে সেঞ্চুরির কাছে নিয়ে যায়। এরপর দ্রুত তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান আউট হয়েছেন।
টেল এন্ডারদের ব্যর্থতায় তাওহিদের শঙ্কা তৈরি হয় আরেকবার সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার। তার আগেই ক্রাম্পের কারণে রীতিমতো সংগ্রাম করছিলেন তিনি। তবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিং করে শেষ পর্যন্ত প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান তাওহিদ। তারপরই হর্ষিত রানার গতিময় বলে সাজঘরে ফেরেন। তখনই বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে।
৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামি নেন ৫৩ রানে ৫ উইকেট। এছাড়া আরেক পেসার হর্ষিত রানা নিয়েছেন ৩টি ও অক্ষর প্যাটেল ২টি উইকেট।