আজ শুক্রবার রাত ৯:৫৪, ২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে এক যুবককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম সৈয়দ মোহাম্মদ তানভির (২২)। এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তানভীর।
জানা যায়, তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার মুন্সিরহাট গ্রামে। পরিবারের সাথে মধ্য বাড্ডা কবরস্থান রোডে থাকতেন। তার বাবা মো. সাহাদুল্লাহ। তানভির এলাকায় একটি দোকানের কর্মচারী।
নিহত তানভীরের বাবা জানান, গতকাল বুধবার ইফতারের পর বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তানভীর। এর ১ ঘণ্টা পর মোবাইল ফোনে তিনি খবর পান, কবরস্থান রোডের শেষ মাথায় আইসিএল মাঠে পড়ে রয়েছেন তানভীর। তাকে এলোপাথাড়ি কুপানো হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। তিনি পৌঁছানোর পর ঘাতকরা তাকে দেখে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
তিনি জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথম স্থানীয় একটি হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন আজ সকালে মারা যান তানভির। তার মাথা, পিঠাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ৭-৮টি আঘাত করা হয়েছে। ১৭-১৮ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছিল তাকে। তবুও তাকে বাঁচানো যায়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, একই এলাকার সিয়াম ওরফে বার্গার সিয়াম, মিঠু, স্বাধীন, শাওনসহ ১০-১২ জন মিলে তাদেরকে উপর্যুপরি কুপিয়ে আহত করেছিল। তারা মূলত নিজেদেরকে এলাকার সিনিয়র দাবি করত। সেই সিনিয়র দাবি নিয়ে মাঝেমধ্যেই তানভিরকে রাস্তাঘাটে পেলে মারধর করত এবং খারাপ ব্যবহার করত। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হিসেবেই বুধবার রাতে তাকে কুপিয়েছে। ঘটনার সময় তার সাথে বেতনের ১০ হাজার টাকা ও একটি ফোন ছিল। সেগুলোও ছিনিয়ে নিয়েছে তারা।
এদিকে, বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাসানুর রহমান জানান, মধ্য বাড্ডায় একটি মারামারির ঘটনায় ওই যুবক ধারাল অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই ঘটনায় বুধবার রাতেই ভুক্তভোগীর বাবা একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের মধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য তানভিরের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠানো হয়েছে। কি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ড সেটি জানার চেষ্টা চলছে এবং বাকি আসামিদেরও গ্রেফতারের অভিযান পরিচালনা হচ্ছে