আজ শনিবার রাত ৩:৫০, ২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন করে গাজায় হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। গত সোমবার মধ্যরাতের পরে ঘুমন্ত গাজাবাসীর ওপর এই হামলায় অন্তত ৪০৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।তালিকায় রয়েছেন হামাসের শীর্ষনেতারাও। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন, স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি সংগঠন হামাসের নেতা তথা গাজ়ার প্রশাসনিক প্রধান এসাম আল-দালিস, অভ্যন্তরীণ বিষয়ক দফতরের প্রধান মাহমুদ আবু ওয়াতফা, নিরাপত্তা বিষয়ক প্রধান বাহজ়াত আবু সুলতান। গাজার দক্ষিণের খান ইউনিস ও রাফা, উত্তরের গাজা নগর এবং মধ্যাঞ্চলের দেইর আল-বালাহসহ গাজার প্রায় সব জায়গায় যুদ্ধবিমান ও ড্রোন থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৫৬২ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি ভেঙে রমজানের মধ্যেই গাজ়ায় একতরফা হামলা শুরুর জন্য অবশ্য ‘হামাসের সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা’ রোখার যুক্তি দিয়েছে তেল আভিভ। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার জানিয়েছে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ ও মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে হামলা বাকি পণবন্দিদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তার জবাব দিতেই এই হামলা। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট মঙ্গলবার জানিয়েছেন, আমেরিকার সম্মতি নিয়েই নতুন করে গাজ়ার অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনা।
অন্য দিকে, হামাসের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, অবিলম্বে সেনা অভিযান বন্ধ করা না হলে বাকি পণবন্দিদের তারা খুন করবে। নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, হামাসের কাছে এখনও ৫৯ জন পণবন্দি রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অন্তত ২৪ জন জীবিত বলে গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য জানাচ্ছে। এঁদের সকলকেই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার সময় অপহরণ করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জে ইজ়রায়েলের দূত ড্যানি দানন মঙ্গলবার বলেন, ‘‘আমরা আর আমাদের শত্রুদের প্রতি কোনও দয়া দেখাব না।’’