আজ সোমবার রাত ১:৫০, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক যুগ্ম কমিশনার মো. শহীদুল্লাহর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সন্ধ্যা ৬টার পর ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার শহীদুল্লাহকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে ডিবি পুলিশ। এর আগে আজ ভোররাতে রাজধানী রমনা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে শহীদুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্টের তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
শুনানিতে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালে তিনি কাজ করেছেন। অন্য আসামিদের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে তিনি সমাবেশ প- করতে সহযোগিতা করেন। তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার চয়েজ করা লোক। এ হত্যায় তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। পুলিশের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। তার ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করছি।
এ সময় আসামি শহীদুল্লাহ কথা বলতে চান। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে অনেক ঝামেলা হয়েছে, এটা সঠিক। আমি ওই দিন গুলশান এলাকায় দায়িত্বে ছিলাম। এক অঞ্চলের ডিসি আরেক এলাকায় যান না। রমনায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে। সেখানে আমি ছিলাম না। তদন্তের সঠিক রহস্য উদঘাটন হবে। এটার মাধ্যমেই মামলাটি নিষ্পত্তি হোক। এ সময় আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে। মহাসমাবেশ করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
জানা গেছে, ২০২২ সালের আগস্টে ডিএমপির রমনা বিভাগের দায়িত্ব পান শহীদুল্লাহ। এর আগে তিনি সিটিটিসি, তেজগাঁও, উত্তরা বিভাগের ডিসি এবং রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) ছিলেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে তিনি পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি হন। পরে তাকে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার দক্ষিণের যুগ্ম-কমিশনার করা হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসন বিভাগে পড়ালেখা শেষ করে ২৪তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচে বাহিনীতে যোগ দেন। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর।