আজ সোমবার সকাল ৮:০১, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
সম্প্রতি একটি অনলাইন আলোচনায় বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং ভারতীয় মিডিয়া ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের দুই সাংবাদিক। আলোচনায় ভারতীয় মিডিয়ার বাংলাদেশ বিষয়ে বিতর্কিত এবং ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় হয়।
আলোচনার মূল বিষয় ছিল ভারতীয় মিডিয়ার বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে টার্গেট করে গুজব ছড়ানোর প্রবণতা। আলোচনায় উঠে আসে, ভারতীয় মিডিয়ার কিছু সংবাদে ড. ইউনূসকে ‘বদমাশ’ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে ভারতীয় মিডিয়ার এসব কর্মকাণ্ডে ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম ভারতীয় মিডিয়াকে ‘গুজব ফ্যাক্টরি’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
ভারতীয় সাংবাদিক বলেন, “ভারতীয় মিডিয়ার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ নিয়ে ইতিবাচক কিছু বলার জায়গা নেই। বিশেষত, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারা ভীতির মধ্যে রয়েছে।
ভারতীয় সাংবাদিক আরও বলেন, “ভারতীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা বাংলাদেশকে এক সময় উপনিবেশ হিসেবে দেখত। সেই উপনিবেশ হারানোর যন্ত্রণায় ভুগে তারা নানা রকম প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ভারতীয় মিডিয়া সম্প্রতি প্রচার করেছে যে, বাংলাদেশে এক দিনে ৪০ হাজার হিন্দু নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।”
তিনি আরও বলেন, “ভারতীয় মিডিয়া হাস্যকরভাবে দাবি করেছে যে, বাংলাদেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং ১৬ ডিসেম্বর আর বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হবে না। এমনকি পাকিস্তান থেকে জাহাজে করে বাংলাদেশে অস্ত্রের বন্যা আসছে বলেও তারা সংবাদ প্রকাশ করেছে। এ ধরনের ভিত্তিহীন খবর দুই দেশের মধ্যে অযথা উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।”
ভারতীয় সাংবাদিক স্বীকার করেন, “বাংলাদেশি মূলধারার মিডিয়া অনেকটাই সংযত, যা আমাদের মিডিয়ার শেখা উচিত। বাংলাদেশের মিডিয়া তথ্য পরিবেশনে অনেক বেশি দায়িত্বশীল।”