আজ রবিবার রাত ৯:৩৭, ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
করোনা মহামারির পর ২০২২ সালের অক্টোবরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) একাকিত্বকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে ঘোষণা করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসেছে, এটি শুধু মানসিক নয়, শারীরিকভাবেও মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র একদিন একাকিত্বে ভোগার প্রভাব দিনে ১৫টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতিকর। বিশেষ করে বয়স্কদের গড় আয়ু হ্রাস পাওয়ার অন্যতম কারণ এটি। গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, একাকিত্ব হৃদরোগের ঝুঁকি ২৯ শতাংশ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে পারে। একই সঙ্গে এটি ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়।
গবেষকরা বলছেন, যাঁরা পরিবার ও সমাজ থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন রাখেন, তাঁদের উদ্বেগ, বিষণ্নতা, হ্যালুসিনেশন এবং প্যানিক অ্যাটাকের মতো মানসিক সমস্যার ঝুঁকি অনেক বেশি।
উত্তর আমেরিকায় একাকিত্বে ভোগার হার সবচেয়ে বেশি, যেখানে ১৫ শতাংশ মানুষ এই সমস্যায় আক্রান্ত। আফ্রিকায় এই হার ১২.৭ শতাংশ এবং ইউরোপের মানুষ তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে কম একাকিত্বে ভোগেন—মাত্র ৫.৩ শতাংশ।
বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান একাকিত্বের এই হার বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সমাজবিজ্ঞানী ও মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করাই একাকিত্বের নেতিবাচক প্রভাব কমানোর অন্যতম উপায়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান