আজ রবিবার সকাল ৯:৫৮, ১৭ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৩শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক।
তবে তার বিরুদ্ধে কয়টি মামলা আছে এবং কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি গোয়েন্দা কর্মকর্তা।
ভারত পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার আস্থাভাজন আমলা হিসেবে পরিচিত মো. জাহাঙ্গীর আলম ২০২৩ সালের ৯ অক্টোবর সচিব পদে নিয়োগ পান। প্রশাসন ক্যাডারের ১১ ব্যাচের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক ভিত্তিক দুর্নীতির অভিযোগ। দুদকের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য মতে, জাহাঙ্গীর আলম এবং তার স্ত্রী মোমেনা আলম ওরফে মোমেনা বেগমের বিরুদ্ধে রয়েছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। জাহাঙ্গীরের আয়কর নথিতে (টিআইএন নং- ৫৮৭৩৫৬৮১২২৭৩) উল্লেখিত সম্পদের পরিমাণও তার প্রাপ্ত বেতন-ভাতার চেয়ে অনেক বেশি।
দিনের ভোট রাতে নেওয়ার অন্যতম কারিগর ছিলেন জাহাঙ্গীর। তিনি শেখ হাসিনার এতটাই আস্থাভাজন ছিলেন যে, ২০১২ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রলীগ নেতা থেকে আমলা বনে যাওয়া জাহাঙ্গীরের কর্মজীবন জুড়ে বেশির ভাগ সময়ই দুর্নীতিপ্রবণ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগে সিনিয়র সহকারী সচিব, উপসচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
৫ আগস্ট ক্ষমতা থেকে উৎখাত শেখ হাসিনা ভারত পালিয়ে গেলে প্রথম ধাক্কায় তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে তিনি সস্ত্রীক দেশত্যাগের চেষ্টা চালান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।