আজ সোমবার ভোর ৫:৩৮, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ছাত্রদলের প্রতি যে আহ্বান জানালো শিবির

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫ , ৮:৩৫ পূর্বাহ্ণ
ক্যাটাগরি : রাজনীতি

অতীত থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসতে ছাত্রদলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামী ছাত্র শিবির। পাশাপাশি ছাত্রদলকে তাঁরা শত্রু মনে করে না বলেও জানিয়েছে এই ছাত্র সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে ছাত্র শিবিরের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ইসলামী ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ছাত্রদলের প্রতি এই আহ্বান জানান।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি এ আহ্বান জানান।

স্ট্যাটাসে জাহিদুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদলকে আমরা শত্রু মনে করি না। আমাদের লড়াই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। তাদের সরাসরি কিংবা কৌশলে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি— ‘অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন’। কিন্তু বন্ধুপ্রতিম সংগঠনটি আমাদের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট ও তাদের শাহবাগী দোসরদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন। যার প্রতিফলন আজ কুয়েটে প্রমাণিত হলো। আজকের ঘটনা আর জুলাই-আগস্টে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের মধ্যে পার্থক্য কোথায়?

তিনি আরও বলেন, আবারও বলছি, আমরা আপনাদের শত্রু নই। বিগত সময়ে আপনাদের যতটুকু ত্যাগ (কম হোক বা বেশি হোক), তার স্বীকৃতি দিতে আমরা কৃপণতা করি না। কিন্তু আপনারা হাঁটছেন ঠিক আগের মতো উল্টোপথে। দখলদারিত্বের মনোভাব পরিহার করে, শিক্ষা ও সেবামূলক ছাত্ররাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সামর্থ্যের আলোকে ভূমিকা রাখুন।

ছাত্রদলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, যাদের পরামর্শে অগ্রসর হচ্ছেন, তারা ছাত্রলীগকে যে পরিণতি বরণ করিয়েছে, আপনাদেরও একই পরিণতি করতে ছাড়বে না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক— এই কামনা। নতুবা সকল ব্যর্থতা ও পরিণতির দায় নিজেদেরই নিতে হবে। দায় চাপানোর রাজনীতি এখন চলে না। এই প্রজন্ম যথেষ্ট সচেতন।

ছাত্র শিবিরের সভাপতি ছাত্রদলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ছাত্রশিবিরের উদারতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। ছাত্রশিবির কোনো ব্যক্তি বা দলের পূজা করে না। এক আল্লাহর গোলাম হিসেবে শুধুমাত্র রবের কাছেই মাথা নত করে।

এর আগে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রদলের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা যোগ দেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হন।