আজ সোমবার রাত ১২:৫৩, ১৮ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩রা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৪শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি
অর্থপাচার মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (BNP) যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান এবং ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের রায়ে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার সব অভিযোগ খারিজ করে দেন।
মামলার শুরুর দিকে, গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে সাত বছরের সাজা ছিল, আর তারেক রহমানকে ট্রায়াল কোর্টে খালাস দেয়া হয়েছিল। এরপর, দুদক হাইকোর্টে আপিল করে, যার ফলে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাজা বহাল রাখা হয় এবং তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।
হাইকোর্টে আপিল করার পর, তাদের বিরুদ্ধে সাত বছরের সাজা প্রদান করা হয়, তবে পরবর্তীতে আপিল বিভাগে তাদের পক্ষে সুবিচার দেয়া হয়। আপিলের শুনানিতে তাদের আইনজীবী, মিস্টার জাকির, মামলার প্রধান ভূমিকা পালন করেন। তিনি তার বক্তব্যে সারা বিশ্বে ঘটে যাওয়া বিচারকৃত ঘটনাগুলোর তুলনা করে, সঠিক বিচার প্রাপ্তির কথা তুলে ধরেন।
আজকের রায় সম্পর্কে, সুপ্রিম কোর্টের সম্মানিত চিফ জাস্টিস এবং অন্যান্য বিচারকগণ জানায়, মামলার বিরুদ্ধে কোনো দৃঢ় প্রমাণ নেই এবং কোনো ইন্টেনশনাল দুর্ব্যবহার বা হ্যারাসমেন্টের ঘটনা ঘটেনি। ফলে, তারা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং তারেক রহমানকে নির্দোষ ঘোষণা করেন এবং তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ খারিজ করেন।
অন্যদিকে, মামলার শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর, যখন দুদক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিদেশে চিকিৎসা খরচের জন্য একটি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করার অভিযোগ আনেন। অভিযোগ ছিল, তারেক রহমান অর্থপাচার করতে ওই টাকা ব্যবহার করেছেন। ট্রায়াল কোর্টে এফবিআই এজেন্ট জেব্রা সাক্ষ্য প্রদান করেন, তবে তিনি কোনো প্রমাণ প্রদান করতে পারেননি যে তারেক রহমান বা গিয়াস উদ্দিন আল মামুন মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত ছিলেন।
হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত ছিল তৎকালীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফলস্বরূপ একটি ভুল রায় ছিল। সেই সময়, তৎকালীন বিচারককেও দেশ ত্যাগ করতে হয়েছিল। তবে আজকের রায়ের পর, বিচার ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং দেশের মানুষের ন্যায়বিচারের প্রতি আস্থা বেড়েছে।