আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭:০৮, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যের বাড়িতে ৪ দিন ধরে কলেজছাত্রীর অবস্থান

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৫ , ১২:২১ অপরাহ্ণ
ক্যাটাগরি : জনপদ

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে এক পুলিশ সদস্যের (প্রেমিকের) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে চার দিন ধরে অবস্থান করছেন এক কলেজছাত্রী।

গত ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের ধূসর কালীবাড়ি গ্রামের মৃত সাহাজউদ্দিনের ছেলে মো. হাসান আলীর বাড়িতে অবস্থান করছেন ওই ছাত্রী।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসানের বাড়ির সামনে উৎসুক মানুষের ভিড়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রী মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিএ (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

তিনি জানান, ফেসবুকে বন্ধুত্বের সূত্রে দীর্ঘ চার বছর ধরে পুলিশ সদস্য হাসান আলীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে হাসান তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। হাসান নাটোরে পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তার কনস্টেবল নম্বর ৯৬৬ বিপি-৯৮১৮২১০৪০২। কিন্তু এখন তার মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ভুক্তভোগী ওই কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, বিয়ের কথা বললে হাসান বলে এ বিয়েতে তার মা রাজি নন, আমাকে তার বাড়িতে গিয়ে ওঠার পরামর্শ দেন। উপায় না দেখে গত ২৮ ডিসেম্বর আমি তার বাড়িতে আসি। পরে তার মা ও পরিবারের লোকজন জানান, হাসান ছুটিতে এলে ৪০ দিন পর সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হবে। আমি বাড়ি ফিরে যাই। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হলেও বিয়ের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আমি ফের হাসানের বাড়িতে আসি। কিন্তু হাসানের মা ও বোন বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে সমাজে আমি আর মুখ দেখাতে পারব না।

এলাকাবাসী জানান, হাসানের মা ও বোন বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এ বিষয়ে হাসানের মোবাইল নম্বরে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. খবির উদ্দিন বলেন, প্রায় দেড় মাস আগে একই ছাত্রী বিয়ের দাবিতে পুলিশের এই বাড়িতে অবস্থান নিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। তখন ৪০ দিনের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও বিয়ে না হওয়ায় মেয়েটি আবারও অবস্থান নিয়েছে।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ আর এ আল-মামুন বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।