আজ সোমবার সকাল ১১:০১, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

প্রস্তুতি প্রায় শেষ, ইজতেমায় আসছেন মুসল্লিরা

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫ , ১০:৫৪ অপরাহ্ণ
ক্যাটাগরি : জনপদ

রাজধানীর উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুক্রবার বাদ ফজর শুরু হচ্ছে নিজামুদ্দিন মারকাজের (মাওলানা সাদ অনুসারী) বিশ্ব তাবলিগ জামাতের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা।

শুক্রবার ইজতেমা শুরু হলেও বৃহস্পতিবার বাদ আসর থেকে সমবেত মুসল্লিদের উদ্দেশে আম-বয়ান (সার্বিক) শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ইজেতমার গণমাধ্যম সমন্বয়ক মোহাম্মদ আবু সায়েম।

ইজতেমাকে সামনে রেখে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও বিদেশ থেকে তাবলিগ অনুসারী ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ময়দানে জড়ো হচ্ছেন। কাল বাদ আসর আম-বয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়ে রোববার পূর্বাহ্নে অর্থাৎ জোহরের নামাজের আগে যে কোনো একসময় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

এরই মধ্যে ইজতেমা ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের অবাধ প্রবেশ নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা তুরাগ নদে ৫টি ও বিআইডব্লিউটিএ একটি ভাসমান পন্টুন সেতু নির্মাণ করেছেন।

১৬০ একর জমির ওপর নির্মিত সুবিশাল প্যান্ডেলের কাজ, খুঁটিতে নম্বর প্লেট, খিত্তা নম্বর, জুড়নেওয়ালি জামাতের কামরা, মুকাব্বির মঞ্চ, বয়ান মঞ্চ, তাশকিল কামরা, বধির সাথীদের জন্য বিশেষ কামরা, পাহারা ও এস্তেকবালের (অভ্যর্থনা) জামাত তৈরি, হালকা নম্বর বসানোর কাজ শেষ হয়েছে।

আগত মুসল্লিদের সুষ্ঠুভাবে বয়ান শোনার জন্য পুরো ময়দানে শব্দ প্রতিধ্বনিরোধক বিশেষ ছাতা মাইক, ইউনিসেফ (প্রতিধ্বনি প্রতিরোধক) মাইক স্থাপন করা হয়েছে।

বিদেশি মেহমানগণ বরাবরের মতো এবারও ময়দানের উত্তর-পশ্চিম কোণে তাদের জন্য নির্ধারিত নিবাসে অবস্থান নিয়ে ইজতেমার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

মুসল্লিদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম: ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবা প্রদানে এ পর্বেও ব্যাপক প্রস্তুতি হাতে নেওয়া হয়েছে।

টঙ্গী শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আফজালুর রহমান বলেন, ‘টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ইজতেমা উপলক্ষ্যে অস্থায়ীভাবে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে মুসল্লিদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ৮টি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালিত হবে। এছাড়াও বক্ষব্যাধি/এ্যাজমা ইউনিট, হৃদরোগ ইউনিট, ট্রমা (অর্থোপেডিক) ইউনিট, বার্ন ইউনিট, ডায়রিয়া ইউনিট, স্যানিটেশন টিম এবং ১১টি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এছাড়াও চক্ষু, মেডিসিন ও সার্জারিসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞসহ শতাধিক চিকিৎসক রোস্টার অনুযায়ী চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।