আজ সোমবার রাত ২:০১, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদলের হামলার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনাকে লালকার্ড ও আধিপত্যের রাজনীতিকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুজ্জোহা চত্বরের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘কুয়েট তোমার ভয় নাই, জুলাই-আগস্ট ভুলি নাই’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘জোহা স্যারের স্মরণে, ভয় করিনা মরণে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। মিছিলটি ক্যাম্পাসের কয়েকটি আবাসিক হলসংল্গণ্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার শামসুজ্জোহা চত্বরের পাশে এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
কুয়েটের হামলার ঘটনা সারা দেশের ছাত্রজনতা লালকার্ড দেখিয়েছে মন্তব্য করে সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আকিল বিন তালেব বলেন, ‘ছাত্রদল নির্যাতিত একটা দল, ১৬ বছর ধরে আপনারা নির্যাতিত হয়েছেন বলে এই না, আপনারা নির্যাতন করার অধিকার পেয়েছেন। আজকের হামলার ঘটনা সারা দেশের ছাত্রজনতা লালকার্ড দেখিয়েছে। আমরা চাই আপনারা সুস্থ ধারায় আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজনীতি করুন। নতুন বাংলাদেশে আমরা সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা করতে চেয়েছিলাম। অনেক ছাত্র-জনতা আছে, যারা ৫ আগস্টের পর রাজনীতি করার স্বপ্ন দেখছেন। এখনো যদি আধিপত্যবাদ, অস্ত্র, সন্ত্রাসী হামলা, রক্তাক্ত রাজনীতি দেখতে হয়, তাহলে এই অভ্যুত্থান করে কী লাভ হল? আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে জবাব চাই।’
ছাত্রদলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ক্যাম্পাসে আর কোনো ধরনের আধিপত্যবাদের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে হলে অবশ্যই সুস্থ ধারার রাজনীতি করতে হবে।’
কুয়েটে হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের রক্তের দাম ছাত্রদলকে দিতেই হবে বলে মন্তব্য করে আরেক সমন্বয়ক মেহেদী সজিব বলেন, ‘ছাত্রদল যদি ছাত্রলীগের মতো ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালানোর চেষ্টা করে, এর ফলাফল ভালো হবে না। এই হামলার দায় স্বীকার না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল একটি ঘৃণ্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, আমরা এটিকে তীব্রভাবে প্রত্যাখান করছি। এই হামলায় শিক্ষার্থীদের রক্তের দাম ছাত্রদলকে দিতেই হবে।’