আজ মঙ্গলবার রাত ১:২৩, ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও ধর্ষণ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আজ প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচী পালন করেছেন। গতকাল রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে।
আজ সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভিকারুননিসা কলেজের শিক্ষার্থীরাও তাদের কলেজ ক্যাম্পাসে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে শিক্ষার্থীরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে এবং দেশব্যাপী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক শিক্ষার্থী বলেন, “বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা কোনদিনই উন্নত ছিল না। শুরু থেকেই তা করাপ্টেড ছিল এবং বর্তমানে এর আরও অবনতি হয়েছে। আমরা আশেপাশে তাকালেই এটা বুঝতে পারি যে, আগের থেকে এখন ক্রাইমের স্ট্যাটিস্টিক অনেক বেড়ে গেছে।”
দেশব্যাপী ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ও ধর্ষকদের শাস্তির বিষয়ে ইসলামিক জাস্টিস ব্যবস্থা চেয়ে অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, “গভর্মেন্ট জাস্টিস সিস্টেম ঠিক করার জন্য কোন স্টেপস নিচ্ছে না। রেপিস্টদেরকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আমি বলব, ম্যান হু রেপ, দেয়ার ডিক শুড বি কাট অফ ইন ফ্রন্ট অফ এভরিওয়ান। তাহলে সোসাইটি আবার সিভিলাইজড হবে।”
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী শাস্তির বিধান চান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আরেক শিক্ষার্থী জানান, ” ধর্ষকদের অবশ্যই পাবলিকলি ফাঁসি দিতে হবে বা সবার সামনে ওদের গলা কাটতে হবে। আমরা এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশে পরের দিন থেকে রেপের সংখ্যাসহ যেকোনো টাইপের ক্রাইম অনেক কমে যাবে।”
সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে এক শিক্ষার্থী জানান, “বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, বিভিন্ন সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এসব কারণে ধর্ষণের ঘটনা বাড়তে পারে।”
অন্য এক শিক্ষার্থীর দাবি ধর্ষকদের ফাঁসির চেয়েও কঠিন শাস্তির দরকার। তিনি জানান, “আমাদের আইনে তাদেরকে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে না, ধর্ষকরা টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের উচিত ধর্ষকদের কঠোর আইনের আওতায় আনা এবং পুরো গলা কেটে দিয়ে যেন তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়, সেটা নিশ্চিত করা।