আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২:০৯, ১৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫শে সফর, ১৪৪৭ হিজরি
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় এক গৃহবধূকে (২১) প্রেমের ফাঁদে ফেলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত ৭ অভিযুক্ত ধর্ষকের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ফুলবাড়ী থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে। বিকালে কুড়িগ্রাম চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন— উপজেলার চন্দ্রখানা বালাতাড়ি গ্রামের মইনুল হক, হাসানুর রহমান (২০), চর বড়লই গ্রামের ইয়াকুব আলী, সোহেল রানা (২১) ও হাজীটারী গ্রামের লাল মিয়া (৪০)।
এছাড়া চর বড়লই গ্রামের আতিয়ার রহমান (৩৫) এবং কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানার আল আমিন (২০) পলাতক রয়েছে।
গৃহবধূর অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূর সঙ্গে মইনুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে চর বড়লই গ্রামের একটি ইউক্লিপটাস বাগানে মইনুলের সঙ্গে দেখা করতে যান ওই গৃহবধূ। এদিকে মইনুল তার সহযোগী ইয়াকুবের সঙ্গে যোগসাজস করে আরও ৫ যুবককে নিয়ে আসেন। সেখানে ৭ জন মিলে সংঘবদ্ধভাবে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে বুধবার ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফুলবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর এলাকার ইউপি সদস্য আজিমুদ্দিন বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ চলছে। পারিবারিকভাবে তাদের বিচ্ছেদের আলোচনা হচ্ছে । তবে তার বিরুদ্ধে অন্য কোনও খারাপ অভিযোগ নেই।
ফুলবাড়ী থানার ওসি মামুনুর রশীদ জানান, নির্যাতিত নারী ৭জনকে আসামি করে বুধবার একটি গনধর্ষনের মামলা দায়ের করে। বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করেছে। ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।