আজ রবিবার সকাল ৮:৪৪, ২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২২শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশে রমজান শুরুর একদিন আগে রোজা পালন করছেন পিরোজপুরের তিন উপজেলার ১০ গ্রামের ৮ শতাধিক পরিবার। শুক্রবার তারাবির নামাজ আদায়ের মধ্যে দিয়ে আজ শনিবার থেকে রোজা পালন করছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, ঝাটিবুনিয়া, খেতাছিড়া ও চকরগাছিয়া গ্রামের প্রায় সাত শতাধিক, জেলার কাউখালী উপজেলার বেতকা, শিয়ালকাঠী ও পারসাতুরিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ পরিবার, জেলার নাজিরপুর উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের খেজুরতলা গ্রামের ৩৫ পরিবার, জেলার সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের কদমতলা ও একপাই জুজখোলা গ্রামের প্রায় ৬০ পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখছেন।
নাজিরপুরের রঘুনাথপুর গ্রামের আল-আমিন জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা কামরুজ্জামান বলেন, আমরা শুরেশ্বর পীরের অনুসারীরা প্রতিবছর সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রমজানে রোজা ও ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহা পালন করে আসছি।
এ বছরও একইভাবে গতরাতে তারাবির নামাজ পড়ে সেহরি খেয়ে আজ রোজা পালন করছি।
নাজিরপুর উপজেলার শেখমাঠিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য বাবুল খান বলেন, আমরা ৩৫টি পরিবার প্রায় ১৫ থেকে ১৭ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা, নামাজ, ঈদ পালন করে থাকি। আমাদের দেখাদেখি জেলায় এবং পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট জেলার অনেক পরিবার এভাবে পালন করে আসছে।
শরীয়তপুরের শুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মিরাজ খন্দকার বলেন, আমার দাদার বাবা ইনাম উদ্দিন খন্দকার থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আমরা সৌদির সঙ্গে মিল রেখে রোজা ঈদ পালন করে আসছি।
আমরা সকলে শরীয়তপুরের হযরত মাওলানা আহমেদ আলী শুরেশ্বর পীরের অনুসারী। আমাদের মঠবাড়িয়ার প্রায় সাত শতাধিকের বেশি পরিবার এটা পালন করে। আমার এখানে ৮০ বছরের মতো সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ রোজা পালন করে আসছি।