আজ শনিবার রাত ৩:০৫, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে স্বামীর শ্বাসরোধে আহত স্ত্রী বাধন আক্তার (১৮) মারা গেছেন। রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী মারা যান।
মৃতের পরিবারের দাবি, স্বামী রাকিব (৩০) বাধনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন। আর ঘটনার দিনই থানায় গিয়ে আত্মসমার্পণ করেন ওই স্বামী।
গৃহবধু বাধন রাউতগাঁও গ্রামের মো. বাদল মিয়ার মেয়ে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাধন অসুস্থ হয়ে পড়েছে— এ খবরে গত মঙ্গলবার মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান বাদল মিয়া। সেখান থেকে অসুস্থ মেয়ে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। আর রোববার সকালে মারা যান বাধন।
এদিকে, ঘটনার দিনই থানায় গিয়ে স্ত্রীকে মারধরের বিষয়টি জানান রাকিব। পরে তাকে গ্রেফতার করে গত বুধবার নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রেমের সম্পর্ক থেকে ছয় মাস আগে রাকিব ও বাধন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বাধন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল বলে জানা গেছে।
বাধনের বাবা বাদল মিয়া বলেন, ‘ফোন কলের মাধ্যমে মেয়ের শশুর বাড়ি থেকে জানতে পারি বাধন অসুস্থ। তারা শ্বশুরবাড়িতে গেলে বাড়িটিতে ননদ ও তার স্বামী ছাড়া কাউকে পাননি। তাকে দ্রুত স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে ভর্তির চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাধন মারা গেছেন।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, ‘গৃহবধুকে গলা চেপে আহত করার পর স্বামী থানায় এসে নিজেই ধরা দিয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।’