আজ সোমবার রাত ২:২০, ১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
দেশের চট্টগ্রাম নৌবন্দরে ৬৫টি ব্যক্তিমালিকানাধীন লাইটার জাহাজে প্রায় ৯০ হাজার টন সয়াবিন তেল ভাসছে। সাধারণত বিদেশ থেকে পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর পর ছোট লাইটার জাহাজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।
এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত এক সপ্তাহ সময় লাগে। তবে এবার এসব লাইটার জাহাজ বন্দরে প্রায় এক মাস ধরে অবস্থান করছে এবং খালাস কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় রমজান মাসেও ভোজ্য তেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, রমজান মাসে পণ্যের বাজার অস্থিতিশীল করতে ইচ্ছাকৃতভাবে জাহাজগুলোকে ভাসমান গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন, এই বিষয়ে তাদের কোনো কিছু জানা নেই।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংশ্লিষ্টরা সতর্ক করেছেন যে, দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে কৃত্রিম তেল সংকট তৈরি হতে পারে। তারা বলছেন, বাজারে ভোজ্য তেলের সরবরাহ নিশ্চিত করতে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা প্রয়োজন।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভোক্তারা। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, যদি এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে রমজান মাসে ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে এবং সাধারণ মানুষের জন্য তা বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।