আজ সোমবার রাত ২:২৭, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

বাণিজ্যিক ফাইলে দেলোয়ারের ঘুষ বাণিজ্য

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫ , ১২:৫০ অপরাহ্ণ
ক্যাটাগরি : জনপদ,বাংলাদেশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ওয়্যারিং পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের ঘুষ গ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে MRtv নামক একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয় ৪ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি।

ভিডিওতে দেখা যায়, ‘পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন তার অফিস কক্ষে বসে একজন স্থানীয় বিদ্যুৎ মিস্ত্রী মিজানুর রহমানকে একটি ফাইল দেখিয়ে বলছেন, এই বাণিজ্যিক ফাইলটার কী করলা? উত্তরে মিজানুর রহমান বলছেন, স্যার ১৫০০ টাকা নেন। পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন তার কাছ থেকে ১৫০০ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে পকেটে ঢুকান। এ সময় মিজানুর রহমান পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের উদ্দেশে বলেন, আমরা যা পাই সবাই মিলেমিশে খাই স্যার, তখন উত্তরে পল্লীবিদ্যুতের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, অত কথা বলতে হবে না।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘এই ভিডিওটি কখন করা হয়েছে তা আমি জানি না। এ ছাড়া আমি একজন ওয়্যারিং মিস্ত্রি। বাসাবাড়িতে কাজ করে পারিশ্রমিক নেই। মিটারের আবেদন করার জন্য পল্লি বিদ্যুৎ অফিস থেকে লাইসেন্স থাকা লাগে। কিন্তু আমি ওয়ারিংয়ের কাজ জানলেও আমার লাইসেন্স নাই। তাই যাদের লাইসেন্স আছে তাদেরকে দিয়ে বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন করি। এ ছাড়া বিদ্যুৎ মিটার নেওয়ার জন্য অফিসে ঘুষ দিতে হয়। আমি পাঁচ টাকা নিলে তাদেরকে দুই টাকা দেই। এজন্য বলেছি আমরা সবাই মিলেমিশে খাই।’

পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ওয়্যারিং পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ভিডিও ফেক। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য ছড়িয়ে দিয়েছে। ভিডিওতে যিনি টাকা দিচ্ছেন তিনি আমাকে বলেছিলেন আমার বাবা অসুস্থ। আমার বিদ্যুতের মিটার সরকারি ফি বাবদ টাকা জমা করে দিয়েন। তাই আমি মানবতার খাতিরে তার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম।

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির নাচোল জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রহিম বলেন, ওয়্যারিং পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে আমাদের জিএম স্যারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ভুক্তভোগী। পরে আমরা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। রোববার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে এবং তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।