আজ সোমবার ভোর ৫:৩৩, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

ডিসেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কাজ শুরু হবে: রিজওয়ানা হাসান

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৫ , ১০:২০ পূর্বাহ্ণ
ক্যাটাগরি : জনপদ

পানিসম্পদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করা হবে। সেই সঙ্গে তিস্তার ভাঙনপ্রবণ এলাকার ভাঙন প্রতিরোধে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। যেন মার্চ থেকে কাজ শুরু করা যায়।’

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার রেলসেতু এলাকায় তিস্তা নিয়ে করণীয় শীর্ষক গণশুনানিতে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘তিস্তা নদী নিয়ে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিস্তাপাড়ের মানুষদের মতামত নেওয়া হবে। আমরা চীনের সঙ্গে কথা বলেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও তিস্তাপাড়ের মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করা হবে।’

তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদেরও দায়িত্ব আছে। বর্ষা মৌসুমে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে অকালবন্যা দেখা দেয়। আমরা বলেছি, উজান থেকে পানি ছেড়ে দেওয়ার সময় ভারত যেন অন্তত ৫-৭ ঘণ্টা আগে আমাদের অবহিত করে। তাহলে তিস্তাপাড়ের মানুষ আগাম প্রস্তুতি নিতে পারে। ঘরবাড়ি ও মালামাল সরিয়ে নেওয়ার কাজ করতে পারে। এটা ভারতের কাছে আমরা দাবি করতেই পারি, তা না হলে কীসের প্রতিবেশী।’

তিনি বলেন, ‘আগামী বর্ষার আগে তিস্তার ভাঙন রোধে ভাঙনপ্রবণ ২০ কিলোমিটার এলাকায় প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে পাউবোকে আজকেই আমি নির্দেশ দিয়েছি। তারা যেন আগামী সপ্তাহে টেন্ডার আহ্বান করে সেই সঙ্গে ডিজাইন প্রস্তুত করবে। কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য সেখানে ছাত্রদের একজন প্রতিনিধিসহ তিস্তাপাড়ের মানুষদের প্রতিনিধিও থাকবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

একই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, অবশ্যই তিস্তা মহাপরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করবো। সেই সঙ্গে চরাঞ্চলের মানুষের শিক্ষার হার অনেক কম। আমরা চরাঞ্চলে নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরি করবো।’ এ ছাড়াও তিস্তাপাড়ের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করা হবে বলে জানান তিনি।’

গণশুনানিকালে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা দুই উপদেষ্টার কাছে বিদেশিদের মুখাপেক্ষী না হয়ে দেশীয় অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং ভারতের কাছ থেকে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা আদায় করার দাবি জানান। এদিন সকাল থেকে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা লালমনিরহাট, গাইবান্ধা , নীলফামারী ও রংপুর জেলার তিস্তাপাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ গণশুনানিতে অংশ নিতে সমাবেশস্থলে আসেন। বিকাল ৩টার দিকে সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা তিস্তাপাড়ের মানুষের নানা সমস্যা ও দুর্ভোগের কথা শোনেন।

রংপুর জেলা প্রশাসক মো. রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম তারিকুল আলম, কাউনিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক ভরসা, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক, কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হকসহ অনেকে বক্তব্য দেন।