আজ রবিবার বিকাল ৫:০২, ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বুধবার কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি কুয়েটে। ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের চারপাশে অবস্থান নিয়ে আছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। কিছু শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল ছাড়তে দেখা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি এবং উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবি জানান সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে দাবি পূরণের আলটিমেটাম দেন তারা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকার কথা জানান তারা।
মঙ্গলবার কুয়েটে ছাত্রদল ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। দুপুর থেকে শুরু হওয়া পালটাপালটি ধাওয়া বিকাল পর্যন্ত চলে। এ ঘটনায় অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহতাবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে কুয়েটের ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সংগঠনের নতুন সদস্য অর্ন্তভুক্ত করার জন্য ফরম বিতরণ শুরু করেন। এ খবরে শিক্ষার্থীরা দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। এ সময় তারা ‘ছাত্র রাজনীতি ঠিকানা, এই কুয়েটে হবে না’, ‘দাবি মোদের একটাই, রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস চাই’, ‘এই ক্যাম্পাসে হবে না, ছাত্র রাজনীতির ঠিকানা’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থীদের মিছিলটি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে আসলে ছাত্রদল সমর্থিতদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে দুগ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ক্যাম্পাসের বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, সংঘর্ষের সময় ছাত্রদলের সঙ্গে বহিরাগতরা ছিল। পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে।
এদিকে মঙ্গলবারের সংঘর্ষের সময় রামদা হাতে দাঁড়িয়ে থাকা যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে বহিষ্কার করেছে যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। রামদা হাতে তার দাঁড়িয়ে থাকার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।