আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭:০২, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
সুনামগঞ্জে মাইকে পূর্ব ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ্যে একের পর এক জলমহলের মাছ লুটের ঘটনা ঘটছে। ইজারাদারদের দাবি, গত পাঁচ দিনে দুই উপজেলার অন্তত সাতটি জলমহল থেকে কয়েক কোটি টাকার মাছ লুটপাট করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
শাল্লা উপজেলার শতাধিক মানুষ জাল, পলোসহ মাছ ধরার নানা সামগ্রী নিয়ে হাজির হন। এরপর মঙ্গলবার প্রকাশ্যেই চলে মাছ হরিলুট। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগের রাতে মাইকিং করে জলমহল থেকে মাছ ধরার ঘোষণা দেওয়া হয়। সকালে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও কাউকে থামানো সম্ভব হয়নি।
ইজারাদারদের দাবি, গেল কয়েকদিনে শাল্লা ও দিরাই উপজেলার অন্তত সাতটি বিলের মাছ লুট করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য কয়েকশ কোটি টাকা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে পরিকল্পিতভাবে লুটপাট চালিয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, জোয়াড়িয়া, কামান, হাতনি, মেঘনা, বারঘরসহ যেসব বিল থেকে মাছ লুট হয়েছে, সেগুলো ইজারাদারদের আওতায় রয়েছে। অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে কিছু লোক অবৈধভাবে মাছ ধরে নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
সুনামগঞ্জে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩০টিরও বেশি জলমহল রয়েছে, যা মৎস্য আহরণের জন্য ইজারা দেওয়া হয়। তবে সাম্প্রতিক এই লুটপাটের ঘটনায় জলমহল ব্যবস্থাপনায় নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।