আজ সোমবার ভোর ৫:১২, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি
কিডনি ড্যামেজ হওয়ার আগে শারীরিক কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে আপনার কিডনির অবস্থা। চুপি চুপি এ রোগ দেহে বাসা বেঁধে আপনাকে একদম শেষ করে দিতে পারে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যায়, মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্য জটিলতাগুলোর মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের পরই অবস্থান করছে কিডনি ড্যামেজ।
২ মিনিটে পড়ুন
কিডনি মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা রক্ত থেকে বর্জ্য এবং অতিরিক্ত তরল ছেঁকে বের করে এবং শরীরে জল, লবণ ও খনিজের ভারসাম্য বজায় রাখে। এই ভারসাম্য সঠিকভাবে বজায় থাকলে স্নায়ু, পেশি এবং অন্যান্য টিস্যু যথাযথভাবে কাজ করতে পারে।
কিডনির ক্ষতি হঠাৎ করে হয় না; শরীর আগেই কিছু সতর্ক সংকেত দেয়। যদি সময়মতো এই লক্ষণগুলি চিহ্নিত করা যায়, তবে বড় ধরনের সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং কিডনি বিকল হওয়া ঠেকানো যেতে পারে।
১. প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তন: প্রস্রাবের রঙ, পরিমাণ বা ঘনত্বে পরিবর্তন দেখা দিলে সতর্ক হওয়া জরুরি।
২. শরীর ফুলে যাওয়া: বিশেষ করে চোখের নিচে, পা ও হাতে ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে।
৩. অতিরিক্ত ক্লান্তি ও দুর্বলতা: কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীর থেকে টক্সিন বের হতে পারে না, যা ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
৪. ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানি: শরীরে টক্সিন জমে থাকলে ত্বক শুষ্ক হতে পারে এবং চুলকানি অনুভূত হতে পারে।
৫. মূত্রে ফেনা বা রক্ত: মূত্রে ফেনা বা রক্ত দেখা গেলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
আরও পড়ুন: যা বলছে গবেষণা / কখন কফি পান করলে হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি কমে?
৬. ক্ষুধা কমে যাওয়া: শরীরে অতিরিক্ত বর্জ্য জমে গেলে এটি খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি করতে পারে।
৭. শ্বাসকষ্ট: শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে গেলে ফুসফুসে চাপ পড়তে পারে, যা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
৮. ঘুম কমে যাওয়া: কিডনি সঠিকভাবে ফিল্টার করতে না পারলে টক্সিন শরীরে থেকে যায়, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।