আজ শনিবার বিকাল ৩:১৮, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৮শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
পরোক্ষ ধূমপান থেকে হওয়া ৭টি মারাত্মক রোগ
১. ফুসফুসের ক্যান্সার
পরোক্ষ ধূমপানের দীর্ঘমেয়াদী সংস্পর্শে থাকলে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। গবেষণা বলছে, ধূমপান করেন না এমন ব্যক্তিদেরও ধূমপানের ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২. হৃদরোগ ও স্ট্রোক
পরোক্ষ ধূমপান হৃদযন্ত্রের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়। এটি ধমনীতে চর্বি জমার হার বৃদ্ধি করে, ফলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৩. অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ
শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপান অ্যাজমার ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। যারা আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য এটি আরও বিপজ্জনক হতে পারে।
৪. শিশুদের নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিস
ধূমপানের ধোঁয়ায় থাকা বিষাক্ত উপাদান শিশুদের ফুসফুসের বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে এবং নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিসসহ অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
৫. গর্ভস্থ শিশুর ক্ষতি
গর্ভবতী মা যদি ধূমপানের ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকেন, তাহলে গর্ভস্থ শিশুর ওজন কমে যাওয়া, জন্মগত ত্রুটি এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৬. চর্মরোগ ও চুল পড়া
ধূমপানের ধোঁয়ার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ত্বকের বলিরেখা বেড়ে যায়, ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে এবং চুল পড়ার হার বৃদ্ধি পেতে পারে।
৭. কানের সংক্রমণ ও শোনার ক্ষমতা হ্রাস
শিশুদের ক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপান কানের সংক্রমণের প্রধান কারণগুলোর একটি। এটি তাদের শ্রবণশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে।
পরোক্ষ ধূমপান এক নীরব ঘাতক, যা ধূমপায়ীর পাশাপাশি আশপাশের মানুষদেরও ক্ষতির মুখে ফেলে। তাই এখনই সচেতন হতে হবে এবং ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সুস্থ ও নিরাপদ জীবন পায়