আজ সোমবার রাত ২:১৩, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি

স্মৃতিশক্তি হারানো প্রতিরোধে সাতটি কার্যকর অভ্যাস

নিউজ ডেস্ক |দুরন্ত নিউজ .কম
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫ , ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ
ক্যাটাগরি : স্বাস্থ্য

স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া কিংবা ভুলে যাওয়া—এমন ঘটনা প্রায় সবার জীবনে ঘটে। হঠাৎ দেখলেন, ঘরের বা গাড়ির চাবি খুঁজে পাচ্ছেন না। আবার বাসা থেকে বেরিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে মনে পড়ছে না, দরজা-জানালা কিংবা গ্যাসের চুলা বন্ধ করেছেন কি না।

এ ধরনের ঘটনা শুধু আপনার সঙ্গেই ঘটছে তা নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশিরভাগ মানুষের এ সমস্যা বাড়তে থাকে। কোনো কিছু মনে রাখতে না পারা বা ভুলে যাওয়ার প্রবণতাকে স্মৃতিশক্তি হ্রাস বলা হয়, যা পরিচিত ডিমেনশিয়া রোগ হিসেবে। এ সমস্যাকে অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ, শুরুতে গুরুত্ব না দিলে এটি আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।

তবে, কিছু অভ্যাস মেনে চললে এ রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। যেমন:

১. শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকুন:
প্রতিদিন শরীরচর্চা করলে শরীরের রক্তসঞ্চালন সহজ হয়, পেশি মজবুত হয়, আর মস্তিষ্কে বেশি অক্সিজেন পৌঁছায়। এতে ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়ে। প্রতিদিন ১০ থেকে ২০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করলেও উপকার পাওয়া যায়।

২. মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখুন:
বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, বিশেষ করে পাজল গেম, মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সাহায্য করে।

৩. একাকিত্ব এড়িয়ে চলুন:
অন্যদের সঙ্গে সময় কাটান। পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব বা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলুন। মানসিক চাপ এড়াতে সামাজিক যোগাযোগ বাড়ান এবং নিজের সমস্যা শেয়ার করুন।

৪. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন:
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মস্তিষ্ক সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।

৫. স্বাস্থ্যকর খাবার খান:
মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বাড়াতে পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খান। ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৬. নতুন অভিজ্ঞতার জন্য উদ্যোগী হোন:
নতুন কিছু করা বা জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে মস্তিষ্ক সচল থাকে। পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান কিংবা নতুন কোনো কাজ শুরু করুন।

৭. নোট করার অভ্যাস গড়ে তুলুন:
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ডায়েরি বা নোটবুকে লিখে রাখুন। এতে মস্তিষ্কের উপর চাপ কমে এবং সহজে বিষয়গুলো মনে থাকে।

এই অভ্যাসগুলো প্রতিদিনের জীবনে মেনে চললে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিশক্তি হ্রাসজনিত সমস্যাকে অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।